এই পৃথিবীর প্রতিটি নারী তাঁর জীবনের কোনও না কোনও সময়ে অন্য লিঙ্গের কাছে মানসিক বা শারীরিকভাবে নির্যাতিতা হয়েছেন। তাহলে আরজি করের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ তথা আসমুদ্রহিমাচল জুড়ে এত এত মানুষ কেন ধিক্কার, প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন? তাঁরা বলছেন,কারণ, ডাক্তার মহিলাটি নির্মমভাবে ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তাঁর নিজস্ব কর্মক্ষেত্রে, মানুষের সেবা করছিলেন তিনি। এই ধর্ষণ, এই হত্যা শুধু ডাক্তারটির হয়নি,হয়েছে প্রতিটি নারীর প্রতিটি মানুষের চিন্তার। একজন ডাক্তারির এমডি পাঠরতা তাঁর নিজের কাজের স্থানে,কাজ করতে করতে যদি এমনভাবে ধর্ষিতা হন, খুন হন, তাহলে মানুষ হিসাবে আমাদের সকলের মনে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়, “আমি তবে কোথায় নিরাপদ? আমার পরিচিতা,অপরিচিতা নারীদের নিরাপত্তা কতটুকু?” আমরা যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাচ্ছি, আতঙ্কে শিউরে উঠছি।
তবু সেই নি:সীম অন্ধকারের মধ্যে, সেই নরকের বিকৃত মানসিকতার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে যেতেও আমরা আলোয় ফিরছি। মোমবাতির একটা দুর্বল শিখা সমস্ত অন্ধকার ঘোচাতে পারে না। কিন্তু সেই আলো তীব্র অন্ধকারের মধ্যেও অনেক অনেক দূর থেকে দেখা যায়। আমাদের সকলের মধ্যে সেই আলো জ্বলে উঠুক। একমাত্র এই আলোই পারে সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে ,জ্বালিয়ে দিতে পারে মানুষের ভেতরের পৈশাচিক প্রবৃত্তিকে। রাজপথের মৌন মিছিলের মোমবাতি হয়ে উঠুক আমাদের হৃদয়। আসুন,আমরা যথার্থ মানুষ হয়ে উঠি শরীরে নয় মননে,চেতনায়।